হিমবাহ (Avalache)

সাধারণত পর্বতময় অঞ্চলে হিমবাহ নামক প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেখা দেয়া যায়।নর্থ আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হিমবাহ দেখা যায়।মূল তুষার বৃষ্টির ফলে বিপুল পরিমাণ তুষার পাহাড় খাঁজে কোটি কোটি টন  বরফ জমতে জমতে এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছায় যখন ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে যায় তখন বরফ পর্বত প্রাচীর বেয়ে দ্রুত বেগে  নিচে নেমে আসে এবং প্লাবন সৃষ্টি করে।  এছাড়া বরফ জমিয়ের রাখার  দুর্বলতা থেকেও হিমবাহের সৃষ্টি হয়। হিমবাহের বরফ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে বাতাসের সাথে মিশে ধুলি মেঘের সৃষ্টি করে। ১৮৮৫ সালে ইতালিতে ৩.৫ মিলিয়ন থেকে ১২০ মিলিয়ন ঘনমিটার বরফ পর্বত থেকে নেমে এসেছিল। ফ্রান্সে একবার  এক লক্ষ টন বরফ এভাবে নিচে নেমে এসেছিল। হিমবাহের গতি ঘন্টায় ৩০০ কিলোমিটারের বেশি হয়ে থাকে এবং এক কোটি টন পর্যন্ত বরফ প্রবাহিত  হতে পারে।


হিমঝড় (blizzard)

হিমঝড় বা তুষার ঝড় শীত প্রধান দেশসমূহে আঘাত হানে। হিম ঝড়ের তাপমাত্রা থাকে খুব কম এবং বাতাসের গতিবেগ থাকে বেশি। যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হিমঝড় ঘটে।কানাডার হিমঝড় বাতাসের গতিবেগ থাকল ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটার বা তার অধিক। বায়ুমণ্ডল উষ্ণতা  ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১৩ ডিগ্রী ফারেনহাইট থাকে। এবং সৃষ্ট ঝড় ন্যূনতম চার ঘন্টা স্থায়ী হয়ে থাকে।১৮৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সংঘটিত হিমঝড়ে প্রায় ৪০০ ব্যক্তি প্রাণ হারায়। এবং ২০০ জাহাজ ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ১৯৭৭,১৯৭৮, ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩,ও ২০০৪ সালে উল্লেখযোগ্য হারে হিমঝড় সংঘটিত হয়। 

১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ  সর্বকালের সের হিমঝড় সৃষ্টি হয়েছিল।১৫ মার্চ সেটি নর্থ আটলান্টিক মহাসাগরে ছড়িয়ে পড়েছিল।এই হিমঝড়কে The Great blizzard নামে ডাকা হয়।

হিমবাহ ও হিমঝড়


Previous Post Next Post