Mbdjobs is a Bengali educational website for Students,bd jobs seeker.

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন সম্পর্কে বিগত সালের প্রশ্ন

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন

 দ্বাদশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর সময়টাকে বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ  বলা হয়। এই যুগে কোন গদ্য সাহিত্য রচিত হয়নি। আর এই মধ্যযুগের আদি নিদর্শন নিদর্শন হলো  বাংলা ভাষায় রচিত  প্রথম কাব্যগ্রন্থ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।  শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের রচয়িতা আদি কবি বড়ু চন্ডীদাস। বড়ু চন্ডীদাস এর প্রকৃত নাম অনন্ত।শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য মূলত নাটগীতি বা নাট্যগীতি। ১৯০৯ সালে  শ্রী বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্ববল্লভ  পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্য গ্রামের দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় নামক এক গৃহস্থের গোয়াল ঘরের চালার নিচ থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন গ্রন্থটি আবিষ্কার করেন। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়।পূর্বে এর মূল নাম ছিল শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ।এই গ্রন্থটি মূলত লোকমুখে প্রচলিত কাহিনী অবলম্বনে রচিত শ্রীকৃষ্ণকীর্তন সর্বজন স্বীকৃত  খাঁটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ । গ্রন্থটির  অন্য নাম রাধা কৃষ্ণের ধামালি। গ্রন্থটিতে তিনটি বিশেষ চরিত্র রয়েছে রাধা বা জীবাত্মা,  কৃষ্ণ বা পরমাত্মা এবং বড়ায়ি বা প্রেমের দূতি।শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি ১৩ খন্ডে রচিত । ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে এটি ১৪০০ খ্রিস্টাব্দে আর ডঃ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে গ্রন্থটি ১৪৫০ খ্রিস্টাব্দে রচনা করা হয়েছিল।

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন সম্পর্কে বিগত সালের প্রশ্ন