রাজকুমারী রত্নাবতী কে ছিলেন?

রাজকুমারী রত্নাবতী ছিলেন জয়সেলমের রাজা মহারাওয়াল রতন সিং এর কন্যা। । তখন দিল্লি শাসন করতেন সম্রাট আলাউদ্দীন খিলজী। কিছুদিনের জন্য  রাজা মহারাওয়াল সিং বাইরে গেলে তার কন্যাকে রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে যান।একদিন আলাউদ্দীনের সেনাপতি মালেক গফুর জয়সেলমার দখলের উদ্দেশ্যে রাজ দূর্গ ঘিরে রাখেন। রাজকুমারী রত্নাবতী কৌশলে সৈন্য সেজে তাদের উপর নজর রাখতে থাকেন।মালেক গফুরের ১০০ সৈন্যকে আটক করেন। এভাবে চলতে থাকে কয়েকদিন। একদিকে দূর্গ ঘিরে রেখেছে দিল্লির সৈনরা।অন্যদিকে রাজকুমারী রত্নাবতী দৃঢ়চিত্তে শত্রুর উপর নজর রাখে।দূর্গ তথা রাজদরবারের খাবার ফুরিয়ে আসে রত্নাবতী ও তার সৈন্যরা দূর্বল হয়ে যেতে থাকে।দিল্লির সম্রাট দেখলেন জয়সেলম দখল করার প্রায় অসম্ভব। তাই নিজ সৈন্যদের মুক্তির জন্য শান্তি প্রস্তাব করেন। রাজা মহারাওয়ালকে মুক্তি দেন ও ঘাঁটি ভেঙে ফেলার পর রত্নবতী কর্তৃক আটক হওয়া দিল্লির সৈন্যদের মুক্তি দেন।

রাজকুমারী রত্নাবতী


রাজকুমারী রত্নবতী স্কুল 

রাজস্থানের জয়সেলমার একটি বালুকময় মরুভূমি অঞ্চল।ভারতের রাজ্য রাজস্থানের রাজধানী জয়পুর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জয়সেলমার।একে গোল্ডেন সিটি বলা হয়।একসময় জয়সেলমার ছিল জয়সেলমার রাজ্যের রাজধানী এখানকার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। নির্ভীক, সাহসী রাজ কুমারী রত্নাবতীর নামে  এখানে একটি স্কুল রয়েছে। জয়সলমীরের প্রতিটি বাড়ি হলুদ পাথুরে বালির প্লাস্টারে তৈরি।এজন্য এ শহরকে সোনালী শহর বলা হয়।স্কুলটিও এর ব্যতিক্রম নয়।তবে রাজকুমারী রত্নবতী স্কুলটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে এতে বাইরের তাপমাত্রা থেকে ১০ ডিগ্রি কম তাপমাত্রা থাকে।ঝড়ে বালি ভিতরে প্রবেশ করে না।পুরো স্কুলটি সৌরবিদ্যুৎ  এ চলে।স্কুলটিতে প্রায় ৪০০ বালিকা কিন্ডারগার্টেন থেকে দশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে।

Previous Post Next Post