কোরআন কিভাবে সংকলন হলো?


আমরা জানি ৬১০ -৬৩২ খ্রীস্টাব্দে রাসূল (সা:) মৃত্যু অবধি কোরআনের বিভিন্ন আয়াত নাযিল হয়।সাহাবারা আল্লাহর বাণীগুলো মুখস্থ করতেন। চামড়ায় ও পাতায় লিখে রাখতেন।সব সাহাবা সব আয়াত জানতেন এমন নয়।রাসূল যখন আল্লাহর বাণী প্রচার করতেন তখন ভিন্ন সময় ভিন্ন সাহাবা উপস্থিত থাকতেন। রাসূলের জীবদ্দশায় কোরআন একত্র করা হয় নি। মৃত্যুর  ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বক্কর (রা) দেখলেন সাহাবারা মারা যাচ্ছেন। বিভিন্ন দেশে চলে যাচ্ছেন।ফলে তিনি কোরআন সংকলন করলেন। কোরআনের মূল কপিটি রাখলে হযরত ওমরের মেয়ে ও রাসূলের স্ত্রী হযরত হাফসা (রা:) এর নিকট।ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমান দেখলেন ইরাকবাসীরা আবু মূসা লেখা কোরআন পড়ছে।আর সিরিয়াবাসীরা আবদুর রহমান নামক এক জনৈক সাহাবার লেখা কোরআন পড়তো।হযরত ওসমান দেখলেন তারা ভিন্ন কিছু পড়ছেন। কিছুটা অমিল রয়েছে। ইরাক ও সিরিয়া থেকে ভুল কোরআনগুলো আনলেন। হজরত হাফসা থেকে মূল কপিটা নিয়ে বিশিষ্ট সাহাবাদের দিয় সংশোধন করে পুনরায় বিভিন্ন প্রদেশে পাঠিয়ে দিলেন।মূল কপিটি এখন কোথায় তা বলা যায় না।


 সবচেয়ে পুরোনো ৫ টি কোরআনের কপি

সবচেয়ে পুরোনো কোরআনের কপিটি রয়েছে ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরী। ৫৬৮-৬৪৫ সালে লেখা।

দ্বিতীয় সবচেয়ে পুরোনো কোরআনের কপিটি রয়েছে জার্মানির তুবিনজেন ইউনিভার্সিটিতে।৬৪৯-৬৭৫ সালের মধ্যে লেখা।

তৃতীয় সবচেয়ে পুরোনো কোরআনটি রয়েছে ইয়েমেনের সানার গ্রেট মসজিদে। ৬৭১ সালে লেখা।

চতুর্থ সবচেয়ে পুরোনো কোরআনটি রয়েছে ফ্রানসের প্যারির, রাশিয়ার পিটার্সবার্গ, ভ্যাটিকেন লাইব্রেরি ও লন্ডনে। এই কোরআনের পৃষ্ঠাগুলো আলাদাভাবে বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। যেগুলো ৭-৮ শতাব্দীর। 

পঞ্চম সবচেয়ে পুরোনো কোরআনটি রয়েছে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যেটি অষ্টম শতাব্দীতে লেখা।

কোরআন সংকলনে প্রকৃত ইতিহাস




Previous Post Next Post