গাছের আয়ু কত বছর?

মানুষ বেঁচে থাকতে পারে ৭৫-১০০ বছর পর্যন্ত। ছাগল বাঁচে ১৩ বছর।গরু বাঁচে ২০-২২ বছর।হাঁস-মুরগি ৫-৬ বছরের বেশি বাঁচে না। কিন্তু শক্ত কাষ্ঠল বিশিষ্ট গাছ রোগ না হলে বহু বছর বেঁচে থাকে। তাই এদের বহুবর্ষজীবী গাছ বলে।যেমন আম, জাম,সেগুন, মেহগুনি ওক প্রভৃতি গাছ বহুবছর বেঁচে থাকে।।কিন্তু কম কাষ্ঠল বা ঘাস জাতীয় গাছ খুব বেশি সময় বেঁচে থাকে না। যেমন মটর, সীম, ধান, গম এগুলো এক বছরের বেশি বাঁচে না তাই এদেরকে একবর্ষজীবী বলা হয়।আবার কলা গাছ,মূলা গাছ দুবছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে তাই এদেরকে দ্বি-বর্ষজীবী  গাছ বলে।  

পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো গাছটি আবিষ্কার করেন চিলির একদল বিজ্ঞানী।এটি কনিফার গাছ (ফিটজরোয়া কুপ্রেসয়েডস)।গাছটি গ্রেটগ্র্যান্ডফাদার নামেও পরিচিত। যার আনুমানিক বয়স ৫৪৮৪ বছর।

"ঢাকা জেলায় গজারিয়া নামক একটি গাছ আছে যেটি লক্ষ্মণ সেন (১১৮-১২০৬ খ্রীস্টাব্দ)এর আমলের। বয়স ১০০০ বছর বা তার বেশি হবে।লঙ্কাদ্বীপে বুদ্ধদেবের একটি পুরনো মন্দিরের পাশে যে অশ্বত্থ গাছ আছে তার বয়স দু হাজারের বেশি।"(তথ্যসূত্র: গাছপাল-শ্রী জগদানন্দ রায়)

ইংল্যান্ড ও আমেরিকার লোকেরা গাছের বয়সের রেকর্ড রাখে।আমাদের দেশে সে প্রথা নাই।ওয়েলবেক গির্জার দেড় হাজার বছর বয়সী একটি ওক গাছ আছে। ডরসেট সায়ারে যে ওক গাছটি রয়েছে তার বয়স ২০০০ বছর।ইংল্যান্ডের অন্যতম কবি মিল্টন (১৬০৮-১৬৭৪) নিজ হাতে একটি তুঁত গাছ লাগিয়েছিলেন যা আজো বেঁচে আছে।তাই বলা যায় অনুকূল পরিবেশ পেলে শক্ত কাঠ বিশিষ্ট গাছ বহু বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। 

গাছ কত দিন বাঁচে?
সবচেয়ে পুরোনো পাইন গাছ


Previous Post Next Post