পাখি সম্পর্কে অজানা অধ্যায়

পাখিরা শরৎ ও শীতের মৌসুমে  খাবারের খোঁজে উত্তর এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা ও তীব্বত থেকে ভারত ও বাংলাদেশে আগমন করে।অর্থাৎ শরতে পাখিরা উত্তর থেকে দক্ষিণে আর বসন্তে পাখিরা দক্ষিণ থেকে উত্তরে চলে যায়। তাদেরকে আমরা ভালোবেসে অতিথি পাখি বলি।আবার তাদের দেশের বসন্ত ও গ্রীষ্মের শুরুতে  ফিরে যায়।হাজার হাজর মাইল পথ পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন জাতের, রঙের পাখিদের আগমন সত্যি আশ্চর্যজনক। তারা কিভাবে বুঝতে পারে এসময়টায় এলাকায় যেতে হবে? পাখিরা কিভাবে পথ চিনে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে নিজ দেশে ফেরত যায়? আরো আশ্চর্যের ব্যপার হলো  কোকিলরা অন্যের বাসায় ডিম পাড়ে।বাচ্চা বড় হলে উড়তে উড়তে আবার মায়ের (কোকিল) কাছে ফেরত যায়।এ এক আশ্চর্য! হাঁস জাতীয় পাখিরা দলবেঁধে V আকৃতি তৈরি করে হাজার হাজার পথ পাড়ি দেয়। সাইবেরিয়া থেকে পাখিরা আরল সাগর ও বৈকাল হ্রদ হয়ে ভারত ও বাংলাদেশে প্রবেশ করে। 


এবার চলুন জেনে নেয়া যাক 

যাযাবর পাখি বা অতিথি পাখিদের কে কতটুকু পথ পাড়ি দেয়।

ছোট ছোট পাখিরা ঘন্টায় ৪৮ থেকে ৬৪ কিলোমিটার বেগে উড়ে।কোন কোন পাখি ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার। হাঁস জাতীয় পাখিরা ঘন্টায় ৮০-৯৬ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে।বিলাতী চাহা পাখিরা হিমালয় থেকে ভারতের নীলগিরি পর্যন্ত ২৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়। মধ্য এশিয়া ও সাইবেরিয়া থেকে ভারত বাংলাদেশ পর্যন্ত  ৩৭০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়। বুনো হাঁসের দল।গোলাপি শালিক,তুলোফুড়কি ও চড়ুই এর মত দেখতে ছোট ছোট পাখিরা মধ্য এশিয়া ও ইউরোপ  থেকে ৪০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আমাদের দেশে আসে।


পাখিদের গায়ের তাপমাত্রা কত 

পাখিদের গায়ের তাপমাত্রা ১০৫-১১০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে। 


পাখিদের প্রতীক নাম ও পাখি তথ্য

পাহারাদার পাখি

ফিঙে পাখিদের পাহারাদার পাখি বলে। কারণ এরা সাধারণ ছোট দূর্বল পাখিদের বাসা পাহারা দেয়।যাতে বড় পাখিরা ছোট পাখিদের ডিম বাচ্চা না নিয়ে যেতে পারে।দূর্বল পাখিরা ফিঙে পাখির আসেপাশে বসবাস করে।ফিঙে খুবই সাহসী। নিজের চেয়ে বড় পাখিদের আক্রমণ করতে পারে। 

অলস পাখি

কোকিল খুবই অলস।এতো অলস যে এরা নিজেদের বাসা তৈরি করে না।কাকের বাসায় ডিম পাড়ে।বাচ্চা ফোঁটার পর নিজেদের দলে নিয়ে নেয়।

যাযাবর পাখি 

উত্তর এশিয়া, তিব্বত, ইউরোপ থেকে শীতকালে যেসকল পাখি ভারত-বাংলাদেশে আসে সেকল পাখিকে যাযাবর পাখি বলে। 

রাতের পাহারাদার

প্যাঁচারা সারাদিন ঘুমিয়ে রাতে জেগে থাকে।ইঁদুর-ছুচো খোঁজে। 

 শিকারী পাখি

ঈগল আর বাজ পাখিদের শিকারী পাখি বলা হয়।


দর্জি পাখি

টুনটুনিকে দর্জি পাখি বলা হয় কারণ তারা মাকড়সার জাল,চিকন সূতা, গাছের চিকন ছাল দিয়ে ছোট গাছের দু-তিনটা পাতা একত্রে করে বাসা বানায় বলে এদের দর্জি পাখি বলে।


কাঠুরিয়া পাখি

কাঠঠোকরাকে কাঠুরিয়া পাখি বলে।

জেলে পাখি

মাছরাঙা পাখিকে জেলে পাখি বলে।কারণ এরা মাছ শিকার করে খায়।

ঝাড়ুদার পাখি

শকুনকে প্রকৃতির ঝাড়ুদার বলা হয়।কারণ এর পঁচা-গলা খাবার খেয়ে প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষা করে। 

চোর পাখি

অন্যের বাসা থেকে ডিম, ছানা চুরি করে খায় কাক।তাই কাককে চোর পাখি বলে। 

দোয়েল ভাল গান করতে পারে।বাবুই পাখিকে তাঁতি পাখি বলে।

ছোট ছোট পাখির ১০-১২ বছর বাঁচাতে পারে।আর ঈগল ২০ বছর।তোতাপাখিরা ১০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। 

কাঁদাখোচা আর বাটের জাতের  মেয়ে পাখিরা ডিম পারলে পুরুষ পাখিরা তাতে "তা" দেয়।

পাখি সম্পর্কে অজানা তথ্য
Flying Ducks "V"


Previous Post Next Post