আলাউদ্দীন হোসেন শাহীর আহোম আক্রমণ 


আসামে হোসেনশাহী পরগণা নামে পরিচিত। হোসেন শাহীর আমলে (১৪৯৩-১৫১৯) প্রাচীন আসাম কামরুপের পূর্ব ও দক্ষিণে অবস্থিত ছিল।আসামের সাথে বাইরের রাজ্যের তেমন যোগাযোগ ছিল না।বাইরের কেউ আসামে ঢুকতে পারতো না।নিজেদের উৎপাদিত পন্যের বিনিময়ে ভিন্ন পন্য আনতে মাঝে মাঝে লোকে বাইরে যেত।১৬৬২-৬৩ খ্রীস্টের দিকে ইবনে মুহাম্মদ ওয়ালী বা শিহাবুদ্দীন তালিশ নামে এক মোঘল রাজ কর্মচারী  তার লেখা  ফাতিয়াহ-ই ইব্রিয়াহ বা তারিখ ফাতে আসাম নামের বইতে উল্লেখ করেন প্রায় ২৪০০০ পদাতিক ও অশ্বরোহী নিয়ে হুসেন শাহী আসাম আক্রমণ করেন।আসাম রাজা সৈন্য নিয়ে পালিয়ে পাহাড়ে চলে যায়।বৃষ্টি শুরু হলে আসামের রাস্তা অর্থাৎ যোগাযোগ ব্যবস্থা কঠিন হয়ে যেত।ফলে শাহী সৈন্যদের আহার-বিশ্রাম ও যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়ে।এই সুযোগে আসাম রাজা সুহুঙ্গ মুজ পাল্টা আক্রমণ চালায়।শাহী সৈন্যের সেনাপতি বড় উজীর পালিয়ে বাঁচে কিন্তু  আরেক সেনাপতি  বিৎ মালিক মারা যায়।জানা যায় শাহী সৈন্যদের আসাম সৈন্যর বর্তমান নওগাঁ জেলার খরিজন পর্যন্ত তাড়া করে।এই যুদ্ধে হসেন শাহীর ছেলে দুলাল গাজী মারা যান।যার আসল নাম দানিয়েল। আবার এটাও শোনা যায় যে দুলাল গাজী হুসেইন শাহীর জামাতা ছিলেন।ঠিক কবে ঘটনাটি ঘটে তা বলা মুশকিল অনেকে বলে যুদ্ধটি ১৫২৭ সালে হয়।অনেকে বলে হুসেইন শাহী সে পর্যন্ত জীবিত ছিলেনা।ঘটনাটি তারও আগের।

হোসেন শাহীর আসাম আক্রমণ


Previous Post Next Post