বায়োডিজেল কী?
বায়োডিজেল বা জৈবডিজেল উদ্ভিদ, প্রাণী দেহের চর্বি ও পুরোনো রান্নার তেল থেকে বিশেষ উপায়ে তৈরি ডিজেল।সাম্প্রতি পাপুয়া নিউগিনি নারিকেল থেকে বায়োডিজেল (Biodiesel) বা জৈবজ্বালানী তৈরি করেছে।তারা প্রস্তুতকৃত বায়োডিজেল বানিজ্যিকভাবে বাজারজাত করছে। ভুট্টা থেকেও বায়োডিজেল তৈরি হচ্ছে। জীবাশ্ম ডিজেল থেকে বায়োডিজেল পরিবেশের জন্য কম ক্ষতিকারক।
বায়োডিজেল কী কাজে লাগে?
বায়োডিজেল বা জৈব ডিজেল জীবাশ্ম ডিজেলের মতই অটোমোবাইলের ব্যবহার করা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে বায়োডিজেল বিক্রি শুরু করেছে। বায়োডিজেল চালিত বাস ও অন্যান্য যানবাহন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চালু হয়েছে।এছাড়া বায়োডিজেল বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রয়োজন হয়।
জৈব ডিজেল এবং জীবাশ্ম ডিজেলের মধ্যে পার্থক্য
১. জৈব ডিজেল প্রাণী এবং উদ্ভিদ থেকে সরাসরি প্রক্রিয়ায় পাওয়া যায় আসে। জীবাশ্ম ডিজেল কোটি কোটি বছর ধরে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় প্রাণী এবং উদ্ভিদের জীবাশ্ম পঁচে ডিজেল তৈরি হয়।
২. জৈব ডিজেল পরিবেশের জন্য কম ক্ষতিকারক
৩. জৈব ডিজেলের সিটেন নাম্বার ৪৭ আর জীবাশ্ম ডিজেল ইঞ্জিনের সিটেন নাম্বার
৪. জৈব ডিজেলের বয়েলিং পয়েন্ট ৩৩০-৩৫৩ ডিগ্রি আর জীবাশ্ম ডিজেল ইঞ্জিনের ১৬৩ থেকে ৩৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৫. জৈবডিজেলের ফ্লাস পয়েন্ট ১৩০ ডিগ্রি আর জীবাশ্ম ডিজেল ইঞ্জিনের ৫২ -৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।