Mbdjobs is a Bengali educational website for Students,bd jobs seeker.best jobs preparation website.

০৫/০৪/২০২৩

বৃটিশ আমলে কুষ্টিয়া জেলা

 কুষ্টিয়া জেলার পুরান ইতিহাস 

বৃটিশ ভারতে কুষ্টিয়া নদীয়ার প্রধান মহকুমা ছিল।১৮৬৯ সালে কুষ্টিয়া পৌরসভা স্থাপিত হয়। সেসময় কুষ্টিয়াতে মাত্র ১৫ ভাগ মুসলিম বসবাস করতো।তাদের বেশিরভাগ কৃষি কাজে নিযুক্ত ছিল।ঐতিহাসিক এই জেলায় সম্রাট শাহজাহান নদী বন্দর তৈরি করে ।নবাব মুর্শিদকুলি খাঁর আমলে যখন এলাকাটি পাটুলির রাজাদের অধীনে ছিল তখন কুষ্টিয়াতে শ্রী শ্রী গোপীনাথ মেলা হতো।সেসময় লক্ষাধিক লোকের আগমন হতো এ মেলায়।একবার ভীড়ে পদপৃষ্ঠ হয়ে বহুলোক মারা যায়।মুর্শিদকুলি খাঁ কুষ্টিয়ার জমিদারদের ঘটনার কারণ  জানতে ডেকে পাঠান।পরে বিষয়টি নিয়ে কী হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। কুষ্টিয়া ও তার আশেপাশের কয়েকটি গ্রাম মিলে তৈরি হয় শ্রী শ্রী গোপীনাথ জিউকের নামানুসারে  গোপীনাথবাদ।পূর্বের এই গোপীনাথবাদ থেকে বর্তমান কুষ্টিয়া নামকরণ হয়েছে।সমগ্র কুষ্টিয়া তখন পাট চাষের ব্যপক বিস্তার লাভ করে।পাটের দাম ও চাহিদা বাড়তে থাকায় কৃষক পাট চাষে আগ্রহী হয়।তখন অবসরপ্রাপ্ত ডিপুটি কালেক্টর শ্রীযুক্ত মোহিনীমোহন চক্রবর্তী একলক্ষ টাকা মূলধন নিয়ে মোহিনী মিল ফ্যাক্টরি তৈরি করেন।মোহিনী মিলের তৈরি সূতার ব্যপক চাহিদা ছিল সেসময়।আস্তে আস্তে মোহিনী মিল বড় হতে থাকে। 

কুষ্টিয়ার সবচেয়ে পুরোনো তিনটি গ্রাম ছিল কুমারখালী, আমলাসদরপুর ও ছেউড়িয়া।  জানা যায় নবাব আমলে কুমারখালিতে একটা কাছারী ও ইষ্ট ইণ্ডিয়ার আমলে একটা ফ্যাক্টরি ছিল।আমলসদরপুর শাসন করতো সাহ জমিদারগণ। ছেউড়িয়া বরাবরই শীতকালীন লালন মেলার জন্য বিখ্যাত ছিল।১৯১১ সালে লেখা একটি গ্রন্থ থেকে জানা যায় সেসময় লালন শাহের দশ হাজারের বেশি সমর্থক ছিল।তাদের বেশিরভাগই ছিল কৃষকশ্রেণীর।


আরো পড়ুন 

বৃটিশ ভারতে কুষ্টিয়ার জনসংখ্যা 


বৃটিশ আমলে কুষ্টিয়া জেলা